ওরা স্বাধীন ভারতের খলনায়ক। ওরা ভারতের দারিদ্রের কারন। অরা আমাদের অশিক্ষিত, ক্ষুধার্ত, আশাহীন ও বেকার করে রেখে দিয়েছে। অরা দশকের পর দশক ধরে আমাদের ৯০% সম্পদ লুটে নিয়েছে। অরা ভারতের রাজনীতিবিদ, আর ওদের সময় এবার শেষ।
আমাদের সামনে লক্ষ্য স্থির
সম্পদ তৈরির রাস্তা আমাদের সামনে পরিষ্কার। ভারতকে মহান করতে প্রত্যেক ভারতীয়কে সম্পদবান ও খুশি করে তুলতে হবে। নতুন এই সমৃদ্ধিতে লাভবান হবেন দেশের প্রতিটি নাগরিক। আর দশকের পর দশক অপেক্ষা না করে কয়েক বছরের মধ্যে করে ফেলা সম্ভব এই কাজ।
ন্যায়ী দিশার নীতি এই সমৃদ্ধ ভারতের ভিত্তি। আর ন্যায়ী দিশার এই নীতি প্রবর্ত্ন করা জন্য (প্রত্যেক পরিবারকে ১ লক্ষ টাকা ফিরিয়ে দেওয়া, আর ট্যাক্সের উর্ধসীমা ১০% এ বেঁধে দেওয়া) প্রয়োজন নতুন সরকার তৈরী করা। যা সত্যিই হবে জনতার সরকার।
আর তা একমাত্র করা সম্ভব যদি প্রত্যেক ভারতবাসী সরাসরি এই বিপ্লবে সংশগ্রহন করেন। নতুন ভবিষ্যত গঠনে যারা কোন রাজনৈতিক দলের সমর্থক নন তাদের ভুমিকা সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা দেশের দুই তৃতীয়াংশ অথচ আমরা ভাবি আমাদের মতামতের কোন দাম নেই। আমরাই দেশের কেন্দ্র অথচ আমরা মরে করি আমদের দূরে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আসলে আমরা মনে করি আমাদের মতো হয়তো আর কেউ নেই। এর কারন আমরা আমাদের ক্ষমতা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল নই।
পরিবর্তনের সময় এসে গিয়েছে
আমাদের নিজেদের সাজিয়ে নেওয়ার সময় এসে গিয়েছে। একটি SMS করেই হয়ে যেতে পারেন ন্যাইয়ী দিশার সদস্য। এরপর দশজনের সাথে তা আলোচনা করে তাদের এই বিষয়ে জানানো। আর ভোটের দিন ৩০ মিনিটের জন্য ভোটকেন্দ্রে গিয়ে নিজের ভোটটি দিয়ে আসা। ১টি SMS, ১০জন বন্ধু আর ৩০ মিনিট। আপনার এই সাহায্যে ন্যায়ী দিশা সফল হয়ে উঠতে পারে। আর ভারত চলতে শুরু করবে সমৃদ্ধির পথে।
আমরা যদি একত্রিত হই দেশের কোন শক্তি আমাদের আটকাতে পারবে না। আমাদের এবার প্রথম পদক্ষেপ নেওয়ার সময় এসে গিয়েছে। আমাদের এবার রাজনৈতিক নেতাদের বার্তা পাঠানোর সময় এসে গিয়েছে। ৭০ বছর ধরে তিন প্রজম্নের সমৃদ্ধি, ভবিষ্যত, খুশি তারা কেড়ে নিয়েছে। এবার সময় এসেছে তা বদলানোর। আমাদের বিকল্প কি?
আমাদের এবার সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আমরা কি একই পথে হাঁটবো নাকি বদল আনবো? এক জাতের থেকে অন্য জাতে বদল নয়, আমরা কি ন্যায়ী দিশায় চলতে পারবো? আমি কি বিজেপি সরকার ও প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে?
বিজেপি ও প্রধানমন্ত্রীর জন্য আমার অতীতের সমর্থনকে তুলে ধরলে কেউ কেউ জানতে চায় যে আমি তাদের বিরুদ্ধে কিনা? এই বিষয়ে আলোকপাত করা প্রয়োজন। আমি বিজেপি সরকার, কোন রাজনৈতিক দল বা কোনও ব্যক্তির বিরুদ্ধে নই। আমার কখনও একটি নেতিবাচক এজেন্ডা ছিল না। আমার কোন রাজনৈতিক দল বা ব্যক্তির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার সময় নেই। আমি একজন উদ্যোক্তা, একজন রাজনীতিবিদ নই।
আমার লক্ষ্য ভারতকে একটি সমৃদ্ধ দেশ গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় পরিবর্তনগুলি সক্রিয় করা। যে একই লক্ষ্য জন্য কাজ করবে প্রত্যেকের সাথে থাকবো। আমি সিস্টেম পরিবর্তন, এবং রাজনৈতিক প্রক্রিয়া যা ক্ষয়ে প্রায় শেষের পথে তা বদলানোর লক্ষে নেমেছি। একজন উদ্যোক্তা হিসেবে আমার কাজ ইতিবাচক পরিবর্তন, রুপান্তর, এবং উন্নতি করার জন্য যা যা করতে পারি তাই ।
আমি বারবার বলছি, আমি কোনও ব্যক্তির বিরুদ্ধে নয়, সর্বোপরি শ্রীযুক্ত মোদির বিরুদ্ধে নয়। আমার এজেন্ডা আজও একই রকম যখন সক্রিয়ভাবে কয়েক বছর ধরে কাজ করেছিলাম, ২014 সালে নরেন্দ্র মোদিকে সাহায্য করার জন্য। আমার এজেন্ডাটি ভারতের সমৃদ্ধি, আর এই লক্ষ্যে যারা চলবেন তারা সকলেই আমার মিত্র।
আমি ভারতের উন্নয়নে মোদীর আন্তরিকতা ও উত্সাহকে সন্দেহ করি না। এটাও বলা যায় যে আমাদের একই লক্ষ্য – শান্তি ও সমৃদ্ধি। তবে বিভিন্ন ব্যক্তি বিভিন্ন প্রকারের উপায়ে বিশ্বাস করেন। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে জনগণের ও জনগণের ওপর ভারী হাত দিয়ে সরকার নিয়ন্ত্রণ ভারতের অগ্রগতির সঠিক উপায় নয়। যারা কেবল ভারতে নয় সর্বত্র ব্যর্থ হয়েছে।